এবার ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ঘাটতি পূরণে বিকল্প হতে পারে এশীয় বাজার। সে লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বিদেশিদের টার্গেট করে রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
এদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পোশাক কেনা কমিয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার মানুষ। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার আমেরিকা। চলতি বছর জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে সেখানে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ঘাটতি পূরণ ও রপ্তানি বাড়াতে নতুন নুতন বাজারের খোঁজ করছেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা।
পোশাক রপ্তানিকারক টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান উলকে ব্যবহার করলে দেশটির বাজারে তাদের যে বেনিফিট সেটা তারা আরও কিছু বাড়িয়ে দেয় কিনা এগুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলছি। এতে শেষ পর্যন্ত দুটো দেশেরই ট্রেড ব্যালেন্সে একটা উইন উইন সিচ্যুয়েশন থাকে।’ মধ্যপ্রাচ্যে পোশাকের বাজার প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের। সেখানে চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশ রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে।
তাই, মধ্যপ্রাচ্যর বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টায় বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘সৌদি আরব, দুবাই, দোহাসহ মধ্যপ্রাচ্যে আমরা ফোকাস করেছি।’ শক্তিশালী বাজারের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বাড়ানোকে ইতিবাচক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেসব দেশে থাকা বিদেশিদের লক্ষ্যে করে রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পরামর্শ।
গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যে বাজারগুলোতে সামনের দিকে প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হতে পারে সে বাজারগুলো প্রধানত এশিয়াতে। মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে একটা সুবিধা আছে সেটা হলো এখানে প্রচুর প্রবাসী আছে। নাগরিকদের সঙ্গে প্রবাসীর সংখ্যা হয়ত দুই গুণেরও বেশি। অর্থাৎ স্থানীয়দের তুলনায় প্রবাসী বেশি। সেই বাজারটা হয়ত আমরা ধরতে পারব।’
এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো তথ্যমতে, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে, এবছর জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ১৮ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।